অ্যালার্জি জনিত রোগের লক্ষণ ও করণীয় অ্যালার্জি হলে প্রাথমিক চিকিৎসা Presented By SUPER TV BD

অ্যালার্জি কি? অ্যালার্জি প্রাথমিক চিকিৎসা

Sumon Ahmed
অ্যালার্জি কি? আমাদের শরীর সব সময়ই ক্ষতিকর বস্তুকে (পরজীবী, ছত্রাক, ভাইরাস, এবং ব্যাকটেরিয়া) প্রতিরোধের মাধ্যমে রোগ প্রতিরোধের চেষ্টা করে। কখনও কখনও আমাদের শরীর সাধারণত ক্ষতিকর নয় এমন অনেক ধরনের বস্তুকেও ক্ষতিকর ভেবে প্রতিরোধের চেষ্টা করে। সাধারণত ক্ষতিকর নয় এমন সব বস্তুর প্রতি শরীরের এ অস্বাভাবিক প্রতিক্রিয়াকে অ্যালার্জি বলা হয়।
অ্যালার্জিজনিত প্রধান সমস্যাগুলো-
অ্যালার্জি জনিত সর্দি বা ‘অ্যালার্জিক রাইনাইটিস’: এর উপসর্গ হচ্ছে অনবরত হাঁচি, নাক চুলকানো, নাক দিয়ে পানি পড়া বা নাক বন্ধ হয়ে যাওয়া, কারও কারও চোখ দিয়েও পানি পড়ে এবং চোখ লাল হয়ে যায়।
অ্যালার্জিক রাইনাটিস’ দুই ধরনের।
সিজনাল অ্যালার্জিক রাইনাটিস: বছরের একটি নির্দিষ্ট সময়ে অ্যালার্জিক রাইনাইটিস হলে একে সিজনাল অ্যালার্জিক রাইনাইটিস বলা হয়।
পেরিনিয়াল অ্যালার্জিক রাইনাইটিস: সারা বছর ধরে অ্যালার্জিক রাইনাইটিস হলে একে পেরিনিয়াল অ্যালার্জিক রাইনাইটিস বলা হয়।
অ্যালার্জি লক্ষণ ও উপসর্গ 
সিজনাল অ্যালার্জিক রাইনাইটিস:
➤ঘন ঘন হাঁচি।
➤ নাক দিয়ে পানি পড়া।
➤ নাসারন্ধ্র বন্ধ হয়ে যাওয়া।
➤ চোখ দিয়ে পানি পড়া।
➤ চোখে তীব্র ব্যথা অনুভব করা।
পেরিনিয়াল অ্যালার্জিক রাইনাইটিস: পেরিনিয়াল অ্যালার্জিক রাইনাইটিসের উপসর্গগুলো সিজনাল অ্যালার্জিক রাইনাইটিসের মতো। তবে এক্ষেত্রে উপসর্গগুলোর তীব্রতা কম হয় এবং স্থায়িত্ব কাল বেশি হয়।
অ্যাজমা বা হাঁপানি: এর উপসর্গ হচ্ছে কাশি, ঘন ঘন শ্বাসের সঙ্গে বাঁশির মতো শব্দ হওয়া বা বুকে চাপ লাগা, শিশুদের ক্ষেত্রে মাঝে মধ্যেই ঠাণ্ডা লাগা।
অ্যাজমার প্রধান প্রধান উপসর্গ বা লক্ষণগুলো হল: বুকের ভেতর বাঁশির মতো সাঁই সাঁই আওয়াজ। ➤ শ্বাস নিতে ও ছাড়তে কষ্ট।
➤ দম খাটো অর্থাৎ ফুসফুস ভরে দম নিতে না পারা।
➤ ঘন ঘন কাশি। 
➤ বুকে আঁটসাঁট বা দম বন্ধ ভাব। 
➤ রাতে ঘুম থেকে ওঠে বসে থাকা
আর্টিকেরিয়া: এর ফলে ত্বকে লালচে ফোলা ফোলা হয় এবং ভীষণ চুলকায়। ত্বকের গভীর স্তরে হলে মুখ, হাত-পা ফুলে যেতে পারে। আর্টিকেরিয়ার ফলে সৃষ্টি খোলা অংশগুলো মাত্র কয়েক ঘণ্টা স্থায়ী থাকে। তবে কখনও কখনও বার বার হয়। যে কোনো বয়সে আর্টিকেরিয়া হতে পারে। তবে স্বল্পস্থায়ী আর্টিকেরিয়া শিশুদের মধ্যে এবং দীর্ঘস্থায়ী আর্টিকেরিয়া বড়দের মধ্যে দেখা যায়।
সংস্পর্শ জনিত অ্যালার্জিক ত্বক প্রদাহ বা ‘অ্যালার্জিক কনটাক্ট ডারমাটাইটিস’
চামড়ার কোথাও কোথাও শুকনা ও খসখসে হয়ে যায়। ছোট ছোট দানার মতো ওঠে। বহিস্থ উপাদান বা অ্যালার্জেনের সংস্পর্শে ত্বকে প্রদাহ হলে তাকে অ্যালার্জিক কনটাক্ট ডারমাটাইটিস বলা হয়।
লক্ষণ ও উপসর্গ:
 ত্বকে ছোট ছোট ফোঁসকা পড়া।
 ফোঁসকাগুলো ভেঙে যাওয়া।
 চুয়ে চুয়ে পানি পড়া
 ত্বকের বহিরাবরণ উঠে যাওয়া।
 ত্বক লালচে হওয়া এবং চুলকানো।
 চামড়া ফেটে আঁশটে হওয়া।
অ্যালার্জি বাংলাদেশের লাখ লাখ মানুষের কাছে এক অসহনীয় ব্যাধি। অ্যালার্জি হাঁচি থেকে শুরু করে খাদ্য ও ওষুধের ভীষণ প্রতিক্রিয়া ও শ্বাসকষ্ট হতে পারে। কারো কারো ক্ষেত্রে অ্যালার্জি সামান্যতম অসুবিধা করে, আবার কারো ক্ষেত্রে জীবনকে দুর্বিষহ করে তোলে।

ঘরের ধুলাবালি পরিষ্কার করছেন? হঠাৎ করে হাঁচি এবং পরে শ্বাসকষ্ট অথবা ফুলের গন্ধ নিচ্ছেন বা গরুর মাংস, চিংড়ি, ইলিশ ও গরুর দুধ খেলেই শুরু হলো গা চুলকানি বা চামড়ায় লাল লাল চাকা হয়ে ফুলে ওঠা। এগুলো হলে আপনার অ্যালার্জি আছে ধরে নিতে হবে।

মানব জীবনে অ্যালার্জি কতটা ভয়ংকর সেটা ভুক্তভোগী যে সেই জানে। উপশমের জন্য কতজন কত কি না করেন। এবার প্রায় বিনা পয়সায় অ্যালার্জিকে গুডবাই জানান আজীবনের জন্য। যা করতে হবে আপনাকে –

 ➤ ১ কেজি নিম পাতা ভালো করে রোদে শুকিয়ে নিন।

 শুকনো নিম পাতা পাটায় পিষে গুড়ো করুন এবং সেই গুড়ো ভালো একটি কৌটায় ভরে রাখুন।

 এবার ইসব গুলের ভুষি কিনুন। ১ চা চামচের তিন ভাগের এক ভাগ নিম পাতার গুড়া ও এক চা চামচ ভুষি ১ গ্লাস পানিতে আধা ঘন্টা ভিজিয়ে রাখুন।

 আধা ঘন্টা পর চামচ দিয়ে ভালো করে নাড়ুন।

 প্রতি দিন সকালে খালি পেটে, দুপুরে ভরা পেটে এবং রাত্রে শোয়ার আগে খেয়ে ফেলুন। ২১ দিন একটানা খেতে হবে

 কার্যকারীতা শুরু হতে ১ মাস লেগে যেতে পারে। ইনশাআল্লাহ ভালো হয়ে যাবে এবং এরপর থেকে এলার্জির জন্য যা যা খেতে পারতেন না যেমন- হাঁসের ডিম, বেগুন, গরু, চিংড়ি সহ অন্যান্য খাবার খেতে পারবেন।

চিকিৎসা :-

তবে অনেক দিন যাবৎ চুলকানি এবং এলার্জির সমস্যায় ভুগতে থাকলে অভিজ্ঞ এবং নিবন্ধনকৃত হোমিও ডাক্তারের পরামর্শ মত কিছুদিন প্রপার ট্রিটমেন্ট নিতে পারেন, আশা করি আপনার অ্যালার্জির সমস্যা দূর হয়ে যাবে।

1 comment:

Theme images by Petrovich9. Powered by Blogger.