সাপ,কুকুর,বিশাক্ত পোকা কামড়ালে প্রাথমিক চিকিৎসা Presented By SUPER TV BD

সাপে কামড় দিলে প্রাথমিক চিকিৎসা

Sumon Ahmed

পাঠ ১

সাপে কামড় দিলে লক্ষণঃ-

দংশিত স্থানে ব্যথা নাও থাকতে পারে তবে ক্ষতস্থান ফুলে গেলে কিংবা পঁচে গেলে ব্যথা হতে পারে।

রোগীর ঘুমঘুম ভাব হতে পারে ও দুর্বলতা অনুভব করতে পারে।

প্যারালাইসিস বা পক্ষাঘাত দেখা দিতে পারে৷ চোখের মাংসপেশী ও অক্ষিগোলকের মাংসপেশীতে প্যারালাইসিস হলে রোগীর চোখের পাতা ভারী হয়ে যায়, চোখ বুঁজে আসে, চোখে ঝাপসা দেখে।

জিহ্বা জড়িয়ে আসা, কথা বলতে অসুবিধা হওয়া, চোয়াল ও তালু অবশ হওয়ার কারণে ঢোক গিলতে অসুবিধা, হাঁটতে অসুবিধা হওয়া, হাত-পা অবশ হয়ে যাওয়া এমন কি মাংসপেশীও অবশ হতে পারে৷ শ্বাস-প্রশ্বাসের অসুবিধা হয়ে রোগী নীল বর্ণ হয়ে যেতে পারে।

প্রাথমিক চিকিৎসা :

রোগীকে আশ্বস্ত করতে হবে ৷ বেশিরভাগ রোগী মনে করেন মৃত্যু অবশ্যম্ভাবী৷ তাই জরুরি ভিত্তিতে রোগীকে সাহস দেয়া ও প্রাথমিক চিকিৎসা দিয়ে যথাযথ স্থানে/হাসপাতালে চিকিৎসা জন্য প্রেরণ করলে রোগী বিশ্বাস ও সাহস ফিরে পাবে৷

দংশিত স্থান কিছুতেই কাটা উচিত নয়৷ কেবল ভিজে কাপড় দিয়ে কিংবা জীবাণুনাশক লোশন দিয়ে ক্ষতস্থান মুছে দিতে হবে৷

দংশনকৃত স্থান থেকে ভিতরের দিকে সাথে সাথে কেবল একটি গিঁট গামছা বা কাপড় দিয়ে (পায়ে দংশন করলে রানে, হাতে দংশন করলে কনুইয়ের উপরে গিঁট) এমনভাবে দিতে হবে যেন খুব আটসাঁট বা ঢিলে কোনটাই না হয় (বলা হয় যেন একটি আঙুল একটু চেষ্টায় ভেতরে যেতে পারে)।

সাপে কাটার স্থান বেশি নড়াচড়া করা যাবে না কারণ মাংসপেশী সংকোচন করলে বিষ দ্রুত শরীরে ছড়িয়ে পড়ে ।

রোগীকে দ্রুত হাসপাতালে প্রেরণ করতে হবে কোনোক্রমেই রোগীকে হাঁটতে দেওয়া যাবে না৷ রোগীকে কাঁধে, খাটিয়ায় বা দোলনায় করে হাসপাতালে নিয়ে যেতে হবে৷ (সম্ভব হলে মৃত সাপ এর প্রজাতি ও বিষধর কিনা তা নিরূপণের জন্য সংগে নিতে হবে৷ সাবধান! সাপ মৃত কিনা ঠিকভাবে দেখে নিন৷ কারণ সাপ মারা যাওয়ার ভান করতে পারে এবং পরে আবার সাপ-দংশন করতে পারে)।

জরুরি কোনো উপসর্গ না থাকলে ‘বিষদাতের চিহ্ন’ পরীক্ষার জন্য দংশিত স্থান পরীক্ষা করতে হবে৷ বিষ দাঁতের দাগ প্রায় আধা ইঞ্চি ফাকে দুটি খোচা দেয়ার চিহ্ন হিসাবে অথবা কেবল আঁচড়ের দাগ হিসেবে দেখা যেতে পারে৷ দুটো বিষদাঁতের চিহ্ন পরিষ্কারভাবে থাকলে খুব সম্ভবত সাপটি বিষধর, তবু বিষদাঁতের চিহ্ন না থাকলে যে সাপটি বিষধর নয় তা বলা যাবে না ।

কামড়ানোর স্থানে চামড়ার রঙের পরিবর্তন, কালচে হওয়া, ফুলে যাওয়া, ফোসকা পড়া, পচন ধরা ইত্যাদি হতে পারে- আবার কোনো পরিবর্তন নাও থাকতে পারে৷ আবার প্রাথমিক চিকিৎসার ফলেও পরিবর্তন হতে পারে।


পাঠ ২

- সবার আগে জেনে নিন কতক্ষণ আগে কামড়িয়েছে (কতক্ষণ হাতে আছে)।

- তারপর ক্ষতস্থানের চার আঙ্গুল উপরে (সব ক্ষেত্রে কাজে লাগবেনা হয়ত) দড়ি দিয়ে মাঝারি টাইট করে বাধুন, বেশি টাইট করবেন না।

- রোগী কে জিগ্যেস করুন সাপ দেখেছে কিনা? হ্যা হলে ফনা তুলেছিল কিনা? বাংলাদেশের বেশির ভাগ সাপ বিষহীন, ফনা তোলেনা।

- একটা ম্যাচ এর কাঠি জালিয়ে ক্ষতস্থানে আল্টো করে ধরুন, রোগী ব্যথা পেলে বুঝবেন বিষ ঢোকেনি.ব্যথা টের না পেলে বুঝবেন রোগী বিষে আক্রান্ত।

- আপনার মুখের ভেতরে কোনো কাটা ক্ষত না থাকলে রোগীর ক্ষত ধারালো কিছু দিয়ে চিরে দিন, তারপর মুখে চুষে রক্ত টানতে থাকুন.ভয় পাবেন না, আমাদের পেট সব সাপের বিষ হজম করতে পারে, রক্ত নালী তে না গেলেই নয়..।

- এতক্ষণ যা যা করছেন তার সাথে সাথে অন্য কোনো সঙ্গী থাকলে তাকে বলুন কাছাকাছি স্বাস্থ্যকেন্দ্রে \ হাসপাতালে যাওয়ার ব্যবস্থা করতে।

1 comment:

Theme images by Petrovich9. Powered by Blogger.