শরীরের কোথাও আঘাত বা কোথাও কেটে রক্ত পড়তে থাকলে প্রাথমিক চিকিৎসা। Presented By SUPER TV BD
আঘাত বা কেটে রক্ত পড়তে থাকলে ?


প্রচারেঃ- সুপার টিভি বিডি।
তথ্য সংগ্রহঃ-
ভুল ক্ষমা প্রার্থনায়ঃ-মো:সুমন আহাম্মেদ।
শরীরের কোথাও আঘাত বা কোথাও কেটে রক্ত পড়তে থাকলে প্রাথমিক চিকিৎসা
➤রক্ত কি.?
রক্ত হলো এক প্রকার তরল পদার্থ, এর রং লাল। হিমোগ্লোবিন নামক লাল রঞ্জক পদার্থের উপস্থিতিতে রক্তের রং লাল দেখায়। শরীরের কোনো স্থানে আঘাতের ফলে বা কেটে গেলে যে ক্ষতের সৃষ্টি হয়, এবং সেই ক্ষত হতে যে রক্ত বের হয়, তাকে রক্তক্ষরণ বা রক্তপাত বলে।
➤ শরীরের কোন আঘাত বা কোথাও কেটে রক্ত পড়তে থাকলে :-
শরীরের কোথাও কোন আঘাত পেলে প্রথমেই আঘাতের স্থান ও পরিমাণ নিরূপণ করুন। হাতে বা পায়ে ফুলে গেলে সেখানে বরফ সেঁক দিন। ডাইক্লোফেনাক জেল হালকা করে লাগিয়ে দেওয়া যেতে পারে। তবে কোথাও কেটে গেলে ওই ক্ষতের ওপর সরাসরি এ রকম ক্রিম লাগাবেন না। আক্রান্ত স্থান ম্যাসাজ করবেন না। আক্রান্ত স্থান বিশ্রামে রাখুন। ক্রেপ ব্যান্ডেজ দিয়ে মুড়িয়ে রাখুন। তবে অতিরিক্ত ফুলে গেলে বা চামড়ার নিচে কালো হয়ে গেলে হাড়টি ভেঙেছে ধরে নেয়া যায়। সে ক্ষেত্রে চিকিৎসকের কাছে গিয়ে এক্স-রে করে নিশ্চিত হোন ও যথাযথ চিকিৎসা নিন।
আর আঘাত যদি মাথায় হয় তাহলে সতর্ক থাকা উচিত। আঘাতের পর বমি, অতিরিক্ত ঘুম ঘুম ভাব, প্রচণ্ড মাথাব্যথা ইত্যাদি উপসর্গ থাকলে হাসপাতাল বা চিকিৎসকের সাহায্য নিতে হবে। বাড়িতে রাখা একটি Fast Aid Box এবং বিজ্ঞানসম্মত জ্ঞান আপনাকে সাহায্য করবে ছোটখাটো মেডিক্যাল ইমার্জেন্সি সামলানোর জন্য। এতে জীবন হবে অনেক নিরাপদ।
শরীরের কোথাও কেটে রক্ত পড়তে থাকলে রক্তক্ষরণ বন্ধ করা বা রক্তপাত কমানোই প্রধান উদ্দেশ্য হওয়া দরকার। পরিষ্কার গজ বা ব্যান্ডেজ দিয়ে ক্ষতস্থান চেপে ধরুন। হাতে কেটে গেলে হাত কিছুক্ষণ উঁচু করে ধরুন। এতে রক্তক্ষরণ কিছুক্ষণের মধ্যেই বন্ধ হয়ে আসবে। অতঃপর বিটাডিন বা এন্টিসেপটিক দিয়ে ওই স্থান পরিষ্কার করে এন্টিবায়োটিক ক্রিম লাগিয়ে ড্রেসিং করুন। রক্ত বন্ধ না হলে বা সেলাই প্রয়োজন হলে চিকিৎসকের শরণাপন্ন হোন। ড্রেসিং এ কাজ হলে একদিন পরপর ওষুধ নতুন করে লাগান। অথবা
➤শরীরের কোনো অংশ কেটে গেলে:-
কাটা স্থানটি কিছুক্ষণ পরিষ্কার হাতে চেপে ধরতে হবে। রক্ত বন্ধ হলে ব্যাণ্ডেজ দিয়ে বেঁধে রাখতে হবে। সাধারণত তিনটি উৎস থেকে রক্তপাত হয়। যথা-
ক) কৈশিক নালি (Capillary)-একটানা স্রোতের ন্যায় রক্ত বের হয়।
খ) শিরা (Vein)-গলগল করে রক্ত বের হয় ।
গ) ধমনী (Artery)- ফিনকি দিয়ে রক্ত বের হয়।
দুর্ঘটনায় বেশির ভাগ রক্তপাত হয় কৈশিক নালি থেকে।
➤শরীরে কোনো বস্তু ঢুকে রক্তপাত হলে যা করবেন :-
➤ ক্ষতস্থানের দুই পাশ চেপে ধরুন (তবে ক্ষতস্থানের ওপর চাপ দেবেন না)।
➤ক্ষতস্থান ও বস্তুটির ওপর আলতো করে গজ বা কাপড় মুড়িয়ে দিন।
➤ বস্তুটির চারদিকে ক্ষতস্থানের ওপর প্যাড ব্যবহার করে ব্যান্ডেজ বাঁধুন। ক্ষতস্থান থেকে বস্তুটি তুলে ফেলার চেষ্টা করবেন না।
➤ হাত বা পায়ের ক্ষেৎরে ক্ষত অঙ্গ উঁচু করে ধরুন।
➤ যদি মনে হয়, আঘাতপ্রাপ্ত অঙ্গের হাড় ভেঙে গেছে; তাহলে অঙ্গটি নড়াচড়া বন্ধ রাখার ব্যবস্থা করুন।
➤ হাত বা পায়ের ক্ষেৎরে ঘন ঘন আঙুল ও পায়ের পাতা উষ্ণ আছে কিনা পরীক্ষা করুন।
রক্তপাতের প্রাথমিক চিকিৎসা :-
১। রোগীকে বসানো ও শোয়ানো যায় এমন স্থানে স্থানান্তর করতে হবে। এতে রক্তপাত আপনা-আপনি কমে যাবে।
২। যে স্থান হতে রক্তপাত হচ্ছে, সে স্থান হৃৎপিণ্ডের সমতার উপর তুলে ধরলে রক্তপাত অনেকটা কমে যাবে।
৩। সামান্য কেটে গেলে ঐ স্থানে রক্ত জমাটবেঁধে আপনা-আপনি রক্তপাত বন্ধ হয়।
৪। কাটা স্থানে বৃদ্ধাঙ্গুলির চাপ প্রয়োগ করলে অনেক সময় রক্তপাত বন্ধ হয়।
৫। আহত অঙ্গের নড়াচড়া বন্ধ করতে হবে।
৬। রক্তপাতের স্থানে বরফ ব্যবহার করতে হবে।
৭। রক্তপাত বন্ধের জন্য প্রত্যক্ষ ও পরোক্ষ চাপ দিতে হবে।
৮। ক্ষতস্থান পরিষ্কার কাপড় বা ব্যাণ্ডেজ দিয়ে বাঁধতে হবে।
৯। তাড়াতাড়ি ডাক্তারের কাছে বা হাসপাতালে নিতে হবে।
১০। বেশি রক্তপাত হলে টুর্নিকেট ব্যবহার করতে হবে। টুর্নিকেটঅর্থ হলো প্রাথমিক বাঁধনকে ঘুরিয়ে ঘুরিয়ে শক্ত করে তোলা। ক্ষতস্থান ঢিলা করে বেঁধে তার ভিতরে একটি কাঠি বা পেন্সিল ঢুকিয়ে দিয়ে আস্তে আস্তে ঘুরালে বাঁধনটি ক্রমশ শক্ত হয়ে রক্তপাত বন্ধ হয়।
➤প্রয়োজনে চিকিৎসকের পরামর্শ গ্রহণ করতে হবে
➤ঔষুধ সেবন ও ব্যবহারের ক্ষেত্রে রেজিষ্টার চিকিৎসকের পরামর্শ নিন।
No comments