ক্যান্সার সমস্যায় প্রাথমিক চিকিৎসা
ক্যান্সার সমস্যায় প্রাথমিক চিকিৎসা
![](https://blogger.googleusercontent.com/img/b/R29vZ2xl/AVvXsEhDIAp1gppIRdRbjy4b843zeJnQDqWGT_1hiqTn4h6Ox2xRNIXUcZRqjZXdePwFyfjucptOW0L5AjU1TVm7_LbgjbnYi0tjE1xkXMTmEQkqdc7dinvgCBxjdEG1ui09NA91_Q7Ibmk6m1o/s640/%25E0%25A6%2595%25E0%25A7%258D%25E0%25A6%25AF%25E0%25A6%25BE%25E0%25A6%25A8%25E0%25A7%258D%25E0%25A6%25B8%25E0%25A6%25BE%25E0%25A6%25B0+%25E0%25A6%25B8%25E0%25A6%25AE%25E0%25A6%25B8%25E0%25A7%258D%25E0%25A6%25AF%25E0%25A6%25BE%25E0%25A7%259F2.jpg)
👉পাঠ /পদ্ধতি - ১
জীবন যাপনে সহজ পরিবর্তন। তাহলে অনেক ক্যান্সারের ঝুঁকি বেশ কমানো সম্ভব হয়। ক্যান্সার হওয়ার পেছনে যে সব কারণ, এগুলোকে এড়ানো তেমন কঠিন নয়। নিম্নে ক্যান্সার প্রতিরোধের বিভিন্ন নিয়মগুলো আলোচনা করা হলো:-
👉ধূমপান বর্জন করুন :-
সিগারেটের ধোঁয়ার ধারে কাছে যাবেন না, তামাক পাতা, জর্দ্দা চিবাবেন না:ধূমপান হলো ক্যান্সার হওয়ার বড় ঝুঁকি। কেউ ধূমপান করে থাকলে ছেড়ে দেওয়া উচিত। তামাক পাতা, জর্দা চিবানো বাদ দেওয়া উচিত। কেবল ফুসফুস বা মুখ গহ্বরের ক্যান্সারই নয় আরও কয়েক রকমের ক্যান্সার থেকেও রক্ষা পাওয়া সম্ভব।
👉প্রচুর রঙিন ফলমূল ও শাক সবজি খেতে হবে:-
সুষম খাদ্য অনেক করণেই বড় হিতকর। ফল, সবজিতে ভরপুর খাবার ক্যান্সারের বিরুদ্ধে অনেক সুরক্ষা দেয়। ফল ও শাক সবজিতে আছে এন্টিঅক্সিডেন্ট, যা দেহের ক্ষতিগ্রস্ত কোষগুলোর মেরামতিতে সাহায্য করে। সবুজ, হলুদ ও কমলা রঙের ফল ও সবজি হলো ক্যান্সার প্রতিরোধে বড় সহায়ক। দেখা গেছে, গাছ ফল যেমন- ব্লু বেরি ও আঙ্গুর, এদের রয়েছে ক্যান্সার রোধীগুণ। ক্রসিফেরাস সবজি যেমন ব্রকোলি, ফুলকপি, বাঁধাকপি এদের আছে ক্যান্সার রোধী গুণ।
👉গোস্ত ও চর্বি বহুল খাবার খুব কম খেতে হবে:-
অনেকগুলো গবেষণায় দেখা গেছে, যেসব খাবারে প্রাণীজ চর্বি বেশি, এসব খাবার খেলে নানা রকম ক্যান্সারের ঝুঁকি বাড়ে। বিশেষ করে ‘কলোন ক্যান্সার’। পোলট্রি ও মাছ থেকে অনেক বেশি চর্বি থাকে লাল গোস্তে। তাই খাদ্যে লাল গোস্ত যত কমানো যাবে ক্যান্সারের ঝুঁকি তত কমে। চর্বি বহুল খাবার খেলে শরীরও স্থূল হয়, আর স্থূলতা হলো অনেক রকমের ক্যান্সারের ঝুঁকি থাকে।
👉 মদ্যপান বর্জন করুন:-
মদ্যপান বর্জন করলে ক্যান্সারের ঝুঁকি অনেক কমে যায়।
👉 নিয়মিত ব্যায়াম করুন :-
নিয়মিত ব্যায়ামে অনেক ধরণের ক্যান্সারের ঝুঁকি কমে। আমেরিকান ক্যান্সার সোসাইটির পরামর্শ দিনে অন্তত: ৩০ মিনিট ব্যায়াম করা জরুরী।
👉 পরিবারে যে কোনো ধরণের ক্যান্সারের ইতিহাস থাকলে:-
পরিবারে কারো ক্যান্সার হয়ে থাকলে নিজের ঝুঁকি মূল্যায়নের জন্য তা জানা বেশ গুরুত্বপূর্ণ। অবশ্যই পরিবারে ইতিহাস থাকলে নিজের ঝুঁকি বেশি। স্তন, কলোন, ডিম্বাশয় ক্যান্সারের জন্য বেশী প্রযোজ্য। পরিবারে যে কোনো ধরণের ক্যান্সারের ইতিহাস থাকলে তা ডাক্তারকে জানাতে হয়। তখন ডাক্তার ও আপনি দু’জনে মিলে যথাযথ স্ক্রিনিং পরিকল্পনা করা ও সত্যিকারের ঝুঁকি নিরূপণ সম্ভব হয়। প্রয়োজনে জেনেটিক ট্রেস্টিং ও কাউন্সেলিং করা যেতে পারে।
👉 সহজেই ক্যানসার প্রতিরোধ:-
➤খাবারে খুবই কম চর্বি গ্রহণ করুন
➤ধূমপান বর্জন করুন
➤পান মসলা, জর্দা, গুল, তামাক চিবানো বর্জন করুন
➤মদ্যপানও বর্জন করুন
➤পরিবারে যে কোনো ধরণের ক্যান্সারের ইতিহাস থাকলে আগাম নিদান করুন
অনেক ঝুঁকি এড়ানো যায় দৈনন্দিন জীবনে । বিজ্ঞানীরা দেখেছেন, জীবনের কিছু অভ্যাস ও চর্চা অনেক সময় ক্যানসারের কারণ হয়ে উঠতে পারে। এসব ঝুঁকি সহজেই এড়ানো সম্ভব।চর্বিবহুল খাবার খেলে স্তন, মলান্দ্র ও প্রোস্টেট ক্যানসারের ঝুঁকি বেজায় বাড়ে। চর্বি থেকে ক্যালরি আহরণ, বাড়বে শরীরের ওজন, আর ব্যায়াম যদি না করেন, তাহলে আরও। দুধজাত দ্রব্য থেকে চর্বি কেটে ফেলুন, খাবারে কচি মেদহীন মাংস, মাছ থাকবে। ছাল ছাড়িয়ে তবে খাবেন চিকেন। চিনি ভরপুর মিষ্টি, মিঠাই, প্যাস্ট্রি বাদ দিন খাবারের তালিকা থেকে।
👉ধূমপান বর্জন করা উচিত:-
ক্যানসারের সবচেয়ে বড় ঝুঁকি হলো ধূমপান। ফুসফুসের ও মূত্রথলির ক্যানসারের বড় কারণ। আর ঘরের ভেতর ধূমপান আরও বড় সর্বনাশের কারণ, ছোট বাচ্চা থেকে শুরু করে ঘরের সবারই শ্বাসযন্ত্রের অসুখ এমনকি ক্যানসারের ঝুঁকি বাড়ে অনেকটাই। গর্ভবতী নারী ধূমপান করলে গর্ভের সন্তানের অনেক অনেক ক্ষতি হয়।
সূচনালগ্নে চিহ্নিত হলে ক্যানসার নিরাময়যোগ্য। তাই বছরে অন্তত একবার নিয়মিত চেকআপ হওয়া উচিত। এসব পরীক্ষা সহজ ও দ্রুত। পারিবারিক চিকিৎসকের সাহায্য নিন। দর্শন করতে পারেন ক্যানসার বিশেষজ্ঞকেও।
এ দেশে ক্যানসার বাড়ছে। ক্যানসার হতে পারে যেকোনো বয়সে। ৪৫ বছরের ঊর্ধ্বে সম্ভাবনা বেশি।
👉সাতটি সতর্ক সংকেত খেয়াল করুন: -
1. মলের অভ্যাসে বা প্রস্রাবের অভ্যাসে পরিবর্তন
2. একটি ক্ষত শরীরে হয়েছে যা সারছে না
3. অস্বাভাবিক রক্তক্ষরণ বা স্রাব
4. স্তনে বা অন্যত্র কোনো গুটি বা স্ফীতি বেড়ে যাওয়া
5. বদহজম বা গিলতে অসুবিধা
6. আঁচিল বা তিলে সুস্পষ্ট পরিবর্তন
7. অবিরাম কাশি বা গলা খুসখুস বা স্বরবদল
এসব উপসর্গ হলে সত্বর চিকিৎসকের পরামর্শ চাই।
🌎 বিশ্ব জুড়ে মৃত্যুর একটি প্রধান কারণ হিসেবে ক্যান্সারকে চিহ্নিত করা হয়েছে। বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার অনুমান অনুযায়ী প্রতিরোধ না করলে ২০০৫-২০১৫ সালের মধ্যে সারা বিশ্বে ক্যান্সারে ৮ কোটি ৪০ লক্ষ মানুষের মৃত্যু হবার সম্ভাবনা। ২০১০ সালে ৪ ফেব্রুয়ারী তারিখে পালিত বিশ্ব ক্যান্সার দিবসের থিম হলো: ‘ক্যান্সার প্রতিরোধও করা যায়’। এই প্রতিরোধের উপায় হিসেবে সহজ কিছু বিষয়ের দিকে গুরুত্ব আরোপ করা হয়েছে।
🚭 ধূমপান না করা
🍒স্বাস্থ্যকর খাবার গ্রহণ
💃নিয়মিত ব্যায়াম
💂ক্যান্সার জনক সংক্রমণের বিরুদ্ধে সুরক্ষা
🛃পরিবেশ দূষণ রোধ।
👉পাঠ - ২
আবিষ্কার করা হল ক্যান্সার-বিরোধী ফল। অস্ট্রেলিয়ার একাংশের গাছে এই ফল পাওয়া যায় বলে দাবি বিজ্ঞানীদের। ফল দেখে রীতিমত বিস্মিত বিজ্ঞানীরা।
আট বছর ধরে গবেষণা চালানোর পর ব্রিসবেনের একটি ইন্সটিটিউট এই ফল আবিষ্কার করেছে।
ঘাড় ও মাথার টিউমার ধ্বংস করার এক আশ্চর্য ক্ষমতা রয়েছে এই ফলের এমনটিই দাবী করছেন গবেষকরা। এখনও পর্যন্ত ওই ফল থেকে তৈরি একটি ওষুধ ৩০০টি প্রাণীর ওপর প্রয়োগ করা হয়েছে। ৭৫ শতাংশ ক্ষেত্রে টিউমার নষ্ট হয়ে যাচ্ছে, আর ফিরে আসছে না।
তবে এই ফল থেকে ওষুধ তৈরি করা কঠিন ও সময়সাপেক্ষ বলে জানিয়েছেন গবেষকরা।
এই ওষুধের কোনো পার্শ্ব প্রতিক্রিয়া নেই। তবে বিজ্ঞানীদের যা আরো বেশি চমক দিয়েছে, তা হল মাত্র পাঁচ মিনিটে মধ্যে এই ওষুধ কাজ করা শুরু করে দেয়। কয়েকদিনের মধ্যে উধাও হয়ে যায় টিউমার।
👉পাঠ /পদ্ধতি - ৩
আমরা অনেক সময়ে এমন অনেক কৃত্রিম, রাসায়নিক উপাদান ব্যবহার করে ফেলি যেগুলো আমাদের শরীরের পক্ষে উপকারী তো নয়ই, বরং বেশ ক্ষতিকর। ডাক্তাররা বলছেন, আমাদের নিত্যব্যবহার্য জিনিসপত্রের এমন অনেক কিছু রয়েছে যেগুলো ক্যানসারের কারণ হতে পারে।
আধুনিক জীবনে আমরা প্রতি মুহূর্তে চেষ্টা করি আমাদেক বেঁচে থাকাকে সহজতর করার। সেই লক্ষ্য পূরণ করতে গিয়ে আমরা অনেক সময়ে এমন অনেক কৃত্রিম, রাসায়নিক উপাদান ব্যবহার করে ফেলি যেগুলো আমাদের শরীরের পক্ষে উপকারী তো নয়ই, বরং বেশ ক্ষতিকর। ডাক্তাররা বলছেন, আমাদের নিত্যব্যবহার্য জিনিসপত্রের এমন অনেক কিছু রয়েছে যেগুলো ক্যানসারের কারণ হতে পারে। এখানে রইল তেমনই ৫টি জিনিসের হদিশ—
১. চিনির বিকল্প হিসেবে ব্যবহৃত মিষ্টি:-
স্যাকারিন জাতীয় জিনিসে সরবিটল, অ্যাকেসুফ্লেম-কে, অ্যাসপারটেম প্রভৃতি উপাদান থাকে যেগুলি ক্যানসারের জন্মদাতা হিসেবে কাজ করে।
২. ননস্টিক কুকওয়্যার:-
ননস্টিক কুকওয়্যারের উপরের অংশে যে কোটিং-টি থাকে সেটি স্বাস্থ্যের পক্ষে মোটেই ভাল নয়। রান্নার সময় পাত্রটি যখন গরম হয়ে যায় তখন এই কোটিং থেকে ফ্লুওরাইড ভিত্তিক কিছু গ্যাস এবং রাসায়নিক নির্গত হয় যেগুলি কার্সিনোজেনিক, অর্থাৎ ক্যানসারের বীজ হিসেবে কাজ করে।
৩. প্লাস্টিকের বোতল ও খাবার রাখার পাত্র:-
এই ধরনের জিনিস তৈরির সময় বিসফেনল-এ নামের একটি উপাদান ব্যবহার করা হয় যা প্লাস্টিককে শক্ত করার কাজে লাগে। প্লাস্টিকের বোতল ও টিফিন কেরিয়ারে যখন জল বা খাবার রাখা হয় তখন সেগুলিও এই উপাদানের সংস্পর্শে বিষময় হয়ে ওঠে। সমীক্ষার ফলে দেখা গিয়েছে, এই ধরনের পাত্রে রাখা খাবার বা জল শরীরে গেলে ক্যানসারের সম্ভাবনা বৃদ্ধি পায়।
৪. এয়ার ফ্রেশনার:-
আমরা ঘরকে সুরভিত করার কাজে এয়ার ফ্রেশনার ব্যবহার করে থাকি। কিন্তু বৈজ্ঞানিক পরীক্ষা থেকে দেখা গিয়েছে, এয়ার ফ্রেশনার স্প্রে করলে এমন কিছু গ্যাস নির্গত হয় যেগুলি সিগারেটের ধোঁয়ার থেকেও বেশি ক্ষতিকর।
৫. ঘর পরিস্কার করার উপাদান:-
ঘরকে পরিস্কার রাখতে আমরা অনেকেই বাজার থেকে নানা রকমের বোতলবন্দি সাবান জাতীয় জিনিস কিনে আনি। এগুলিতে বিসফেনল-এ, ট্রাইক্লোসান, প্যারাবেন-এর মতো কিছু অত্যন্ত ক্ষতিকর রাসায়নিক থাকে। যখন এগুলি ঘর মোছার কাজে ব্যবহৃত হয়, তখন শরীরেও তার ক্ষতিকর প্রভাব পড়ে। হরমোনের ভারসাম্যহীনতার পাশাপাশি ক্যানসারেরও সম্ভাবনা দেখা দেয় এগুলি ব্যবহারের ফলে।
উপরোক্ত জিনিসগুলি ব্যবহার করলেই ক্যানসার হবে, এমন কোনও কথা নেই। তবে সুস্থ থাকতে চাইলে এগুলির ব্যবহার যথাসম্ভব কমানোই উচিত।
![](https://blogger.googleusercontent.com/img/b/R29vZ2xl/AVvXsEhDIAp1gppIRdRbjy4b843zeJnQDqWGT_1hiqTn4h6Ox2xRNIXUcZRqjZXdePwFyfjucptOW0L5AjU1TVm7_LbgjbnYi0tjE1xkXMTmEQkqdc7dinvgCBxjdEG1ui09NA91_Q7Ibmk6m1o/s640/%25E0%25A6%2595%25E0%25A7%258D%25E0%25A6%25AF%25E0%25A6%25BE%25E0%25A6%25A8%25E0%25A7%258D%25E0%25A6%25B8%25E0%25A6%25BE%25E0%25A6%25B0+%25E0%25A6%25B8%25E0%25A6%25AE%25E0%25A6%25B8%25E0%25A7%258D%25E0%25A6%25AF%25E0%25A6%25BE%25E0%25A7%259F2.jpg)
তথ্য সংগ্রহঃ-
ভুল ক্ষমা প্রার্থনায়ঃ-মো:সুমন আহাম্মেদ।
জীবন যাপনে সহজ পরিবর্তন। তাহলে অনেক ক্যান্সারের ঝুঁকি বেশ কমানো সম্ভব হয়। ক্যান্সার হওয়ার পেছনে যে সব কারণ, এগুলোকে এড়ানো তেমন কঠিন নয়। নিম্নে ক্যান্সার প্রতিরোধের বিভিন্ন নিয়মগুলো আলোচনা করা হলো:-
👉ধূমপান বর্জন করুন :-
সিগারেটের ধোঁয়ার ধারে কাছে যাবেন না, তামাক পাতা, জর্দ্দা চিবাবেন না:ধূমপান হলো ক্যান্সার হওয়ার বড় ঝুঁকি। কেউ ধূমপান করে থাকলে ছেড়ে দেওয়া উচিত। তামাক পাতা, জর্দা চিবানো বাদ দেওয়া উচিত। কেবল ফুসফুস বা মুখ গহ্বরের ক্যান্সারই নয় আরও কয়েক রকমের ক্যান্সার থেকেও রক্ষা পাওয়া সম্ভব।
👉প্রচুর রঙিন ফলমূল ও শাক সবজি খেতে হবে:-
সুষম খাদ্য অনেক করণেই বড় হিতকর। ফল, সবজিতে ভরপুর খাবার ক্যান্সারের বিরুদ্ধে অনেক সুরক্ষা দেয়। ফল ও শাক সবজিতে আছে এন্টিঅক্সিডেন্ট, যা দেহের ক্ষতিগ্রস্ত কোষগুলোর মেরামতিতে সাহায্য করে। সবুজ, হলুদ ও কমলা রঙের ফল ও সবজি হলো ক্যান্সার প্রতিরোধে বড় সহায়ক। দেখা গেছে, গাছ ফল যেমন- ব্লু বেরি ও আঙ্গুর, এদের রয়েছে ক্যান্সার রোধীগুণ। ক্রসিফেরাস সবজি যেমন ব্রকোলি, ফুলকপি, বাঁধাকপি এদের আছে ক্যান্সার রোধী গুণ।
👉গোস্ত ও চর্বি বহুল খাবার খুব কম খেতে হবে:-
অনেকগুলো গবেষণায় দেখা গেছে, যেসব খাবারে প্রাণীজ চর্বি বেশি, এসব খাবার খেলে নানা রকম ক্যান্সারের ঝুঁকি বাড়ে। বিশেষ করে ‘কলোন ক্যান্সার’। পোলট্রি ও মাছ থেকে অনেক বেশি চর্বি থাকে লাল গোস্তে। তাই খাদ্যে লাল গোস্ত যত কমানো যাবে ক্যান্সারের ঝুঁকি তত কমে। চর্বি বহুল খাবার খেলে শরীরও স্থূল হয়, আর স্থূলতা হলো অনেক রকমের ক্যান্সারের ঝুঁকি থাকে।
👉 মদ্যপান বর্জন করুন:-
মদ্যপান বর্জন করলে ক্যান্সারের ঝুঁকি অনেক কমে যায়।
👉 নিয়মিত ব্যায়াম করুন :-
নিয়মিত ব্যায়ামে অনেক ধরণের ক্যান্সারের ঝুঁকি কমে। আমেরিকান ক্যান্সার সোসাইটির পরামর্শ দিনে অন্তত: ৩০ মিনিট ব্যায়াম করা জরুরী।
👉 পরিবারে যে কোনো ধরণের ক্যান্সারের ইতিহাস থাকলে:-
পরিবারে কারো ক্যান্সার হয়ে থাকলে নিজের ঝুঁকি মূল্যায়নের জন্য তা জানা বেশ গুরুত্বপূর্ণ। অবশ্যই পরিবারে ইতিহাস থাকলে নিজের ঝুঁকি বেশি। স্তন, কলোন, ডিম্বাশয় ক্যান্সারের জন্য বেশী প্রযোজ্য। পরিবারে যে কোনো ধরণের ক্যান্সারের ইতিহাস থাকলে তা ডাক্তারকে জানাতে হয়। তখন ডাক্তার ও আপনি দু’জনে মিলে যথাযথ স্ক্রিনিং পরিকল্পনা করা ও সত্যিকারের ঝুঁকি নিরূপণ সম্ভব হয়। প্রয়োজনে জেনেটিক ট্রেস্টিং ও কাউন্সেলিং করা যেতে পারে।
👉 সহজেই ক্যানসার প্রতিরোধ:-
➤খাবারে খুবই কম চর্বি গ্রহণ করুন
➤ধূমপান বর্জন করুন
➤পান মসলা, জর্দা, গুল, তামাক চিবানো বর্জন করুন
➤মদ্যপানও বর্জন করুন
➤পরিবারে যে কোনো ধরণের ক্যান্সারের ইতিহাস থাকলে আগাম নিদান করুন
অনেক ঝুঁকি এড়ানো যায় দৈনন্দিন জীবনে । বিজ্ঞানীরা দেখেছেন, জীবনের কিছু অভ্যাস ও চর্চা অনেক সময় ক্যানসারের কারণ হয়ে উঠতে পারে। এসব ঝুঁকি সহজেই এড়ানো সম্ভব।চর্বিবহুল খাবার খেলে স্তন, মলান্দ্র ও প্রোস্টেট ক্যানসারের ঝুঁকি বেজায় বাড়ে। চর্বি থেকে ক্যালরি আহরণ, বাড়বে শরীরের ওজন, আর ব্যায়াম যদি না করেন, তাহলে আরও। দুধজাত দ্রব্য থেকে চর্বি কেটে ফেলুন, খাবারে কচি মেদহীন মাংস, মাছ থাকবে। ছাল ছাড়িয়ে তবে খাবেন চিকেন। চিনি ভরপুর মিষ্টি, মিঠাই, প্যাস্ট্রি বাদ দিন খাবারের তালিকা থেকে।
👉ধূমপান বর্জন করা উচিত:-
ক্যানসারের সবচেয়ে বড় ঝুঁকি হলো ধূমপান। ফুসফুসের ও মূত্রথলির ক্যানসারের বড় কারণ। আর ঘরের ভেতর ধূমপান আরও বড় সর্বনাশের কারণ, ছোট বাচ্চা থেকে শুরু করে ঘরের সবারই শ্বাসযন্ত্রের অসুখ এমনকি ক্যানসারের ঝুঁকি বাড়ে অনেকটাই। গর্ভবতী নারী ধূমপান করলে গর্ভের সন্তানের অনেক অনেক ক্ষতি হয়।
সূচনালগ্নে চিহ্নিত হলে ক্যানসার নিরাময়যোগ্য। তাই বছরে অন্তত একবার নিয়মিত চেকআপ হওয়া উচিত। এসব পরীক্ষা সহজ ও দ্রুত। পারিবারিক চিকিৎসকের সাহায্য নিন। দর্শন করতে পারেন ক্যানসার বিশেষজ্ঞকেও।
এ দেশে ক্যানসার বাড়ছে। ক্যানসার হতে পারে যেকোনো বয়সে। ৪৫ বছরের ঊর্ধ্বে সম্ভাবনা বেশি।
👉সাতটি সতর্ক সংকেত খেয়াল করুন: -
1. মলের অভ্যাসে বা প্রস্রাবের অভ্যাসে পরিবর্তন
2. একটি ক্ষত শরীরে হয়েছে যা সারছে না
3. অস্বাভাবিক রক্তক্ষরণ বা স্রাব
4. স্তনে বা অন্যত্র কোনো গুটি বা স্ফীতি বেড়ে যাওয়া
5. বদহজম বা গিলতে অসুবিধা
6. আঁচিল বা তিলে সুস্পষ্ট পরিবর্তন
7. অবিরাম কাশি বা গলা খুসখুস বা স্বরবদল
এসব উপসর্গ হলে সত্বর চিকিৎসকের পরামর্শ চাই।
🌎 বিশ্ব জুড়ে মৃত্যুর একটি প্রধান কারণ হিসেবে ক্যান্সারকে চিহ্নিত করা হয়েছে। বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার অনুমান অনুযায়ী প্রতিরোধ না করলে ২০০৫-২০১৫ সালের মধ্যে সারা বিশ্বে ক্যান্সারে ৮ কোটি ৪০ লক্ষ মানুষের মৃত্যু হবার সম্ভাবনা। ২০১০ সালে ৪ ফেব্রুয়ারী তারিখে পালিত বিশ্ব ক্যান্সার দিবসের থিম হলো: ‘ক্যান্সার প্রতিরোধও করা যায়’। এই প্রতিরোধের উপায় হিসেবে সহজ কিছু বিষয়ের দিকে গুরুত্ব আরোপ করা হয়েছে।
🚭 ধূমপান না করা
🍒স্বাস্থ্যকর খাবার গ্রহণ
💃নিয়মিত ব্যায়াম
💂ক্যান্সার জনক সংক্রমণের বিরুদ্ধে সুরক্ষা
🛃পরিবেশ দূষণ রোধ।
👉পাঠ - ২
আবিষ্কার করা হল ক্যান্সার-বিরোধী ফল। অস্ট্রেলিয়ার একাংশের গাছে এই ফল পাওয়া যায় বলে দাবি বিজ্ঞানীদের। ফল দেখে রীতিমত বিস্মিত বিজ্ঞানীরা।
আট বছর ধরে গবেষণা চালানোর পর ব্রিসবেনের একটি ইন্সটিটিউট এই ফল আবিষ্কার করেছে।
ঘাড় ও মাথার টিউমার ধ্বংস করার এক আশ্চর্য ক্ষমতা রয়েছে এই ফলের এমনটিই দাবী করছেন গবেষকরা। এখনও পর্যন্ত ওই ফল থেকে তৈরি একটি ওষুধ ৩০০টি প্রাণীর ওপর প্রয়োগ করা হয়েছে। ৭৫ শতাংশ ক্ষেত্রে টিউমার নষ্ট হয়ে যাচ্ছে, আর ফিরে আসছে না।
তবে এই ফল থেকে ওষুধ তৈরি করা কঠিন ও সময়সাপেক্ষ বলে জানিয়েছেন গবেষকরা।
এই ওষুধের কোনো পার্শ্ব প্রতিক্রিয়া নেই। তবে বিজ্ঞানীদের যা আরো বেশি চমক দিয়েছে, তা হল মাত্র পাঁচ মিনিটে মধ্যে এই ওষুধ কাজ করা শুরু করে দেয়। কয়েকদিনের মধ্যে উধাও হয়ে যায় টিউমার।
👉পাঠ /পদ্ধতি - ৩
আমরা অনেক সময়ে এমন অনেক কৃত্রিম, রাসায়নিক উপাদান ব্যবহার করে ফেলি যেগুলো আমাদের শরীরের পক্ষে উপকারী তো নয়ই, বরং বেশ ক্ষতিকর। ডাক্তাররা বলছেন, আমাদের নিত্যব্যবহার্য জিনিসপত্রের এমন অনেক কিছু রয়েছে যেগুলো ক্যানসারের কারণ হতে পারে।
আধুনিক জীবনে আমরা প্রতি মুহূর্তে চেষ্টা করি আমাদেক বেঁচে থাকাকে সহজতর করার। সেই লক্ষ্য পূরণ করতে গিয়ে আমরা অনেক সময়ে এমন অনেক কৃত্রিম, রাসায়নিক উপাদান ব্যবহার করে ফেলি যেগুলো আমাদের শরীরের পক্ষে উপকারী তো নয়ই, বরং বেশ ক্ষতিকর। ডাক্তাররা বলছেন, আমাদের নিত্যব্যবহার্য জিনিসপত্রের এমন অনেক কিছু রয়েছে যেগুলো ক্যানসারের কারণ হতে পারে। এখানে রইল তেমনই ৫টি জিনিসের হদিশ—
১. চিনির বিকল্প হিসেবে ব্যবহৃত মিষ্টি:-
স্যাকারিন জাতীয় জিনিসে সরবিটল, অ্যাকেসুফ্লেম-কে, অ্যাসপারটেম প্রভৃতি উপাদান থাকে যেগুলি ক্যানসারের জন্মদাতা হিসেবে কাজ করে।
২. ননস্টিক কুকওয়্যার:-
ননস্টিক কুকওয়্যারের উপরের অংশে যে কোটিং-টি থাকে সেটি স্বাস্থ্যের পক্ষে মোটেই ভাল নয়। রান্নার সময় পাত্রটি যখন গরম হয়ে যায় তখন এই কোটিং থেকে ফ্লুওরাইড ভিত্তিক কিছু গ্যাস এবং রাসায়নিক নির্গত হয় যেগুলি কার্সিনোজেনিক, অর্থাৎ ক্যানসারের বীজ হিসেবে কাজ করে।
৩. প্লাস্টিকের বোতল ও খাবার রাখার পাত্র:-
এই ধরনের জিনিস তৈরির সময় বিসফেনল-এ নামের একটি উপাদান ব্যবহার করা হয় যা প্লাস্টিককে শক্ত করার কাজে লাগে। প্লাস্টিকের বোতল ও টিফিন কেরিয়ারে যখন জল বা খাবার রাখা হয় তখন সেগুলিও এই উপাদানের সংস্পর্শে বিষময় হয়ে ওঠে। সমীক্ষার ফলে দেখা গিয়েছে, এই ধরনের পাত্রে রাখা খাবার বা জল শরীরে গেলে ক্যানসারের সম্ভাবনা বৃদ্ধি পায়।
৪. এয়ার ফ্রেশনার:-
আমরা ঘরকে সুরভিত করার কাজে এয়ার ফ্রেশনার ব্যবহার করে থাকি। কিন্তু বৈজ্ঞানিক পরীক্ষা থেকে দেখা গিয়েছে, এয়ার ফ্রেশনার স্প্রে করলে এমন কিছু গ্যাস নির্গত হয় যেগুলি সিগারেটের ধোঁয়ার থেকেও বেশি ক্ষতিকর।
৫. ঘর পরিস্কার করার উপাদান:-
ঘরকে পরিস্কার রাখতে আমরা অনেকেই বাজার থেকে নানা রকমের বোতলবন্দি সাবান জাতীয় জিনিস কিনে আনি। এগুলিতে বিসফেনল-এ, ট্রাইক্লোসান, প্যারাবেন-এর মতো কিছু অত্যন্ত ক্ষতিকর রাসায়নিক থাকে। যখন এগুলি ঘর মোছার কাজে ব্যবহৃত হয়, তখন শরীরেও তার ক্ষতিকর প্রভাব পড়ে। হরমোনের ভারসাম্যহীনতার পাশাপাশি ক্যানসারেরও সম্ভাবনা দেখা দেয় এগুলি ব্যবহারের ফলে।
উপরোক্ত জিনিসগুলি ব্যবহার করলেই ক্যানসার হবে, এমন কোনও কথা নেই। তবে সুস্থ থাকতে চাইলে এগুলির ব্যবহার যথাসম্ভব কমানোই উচিত।
No comments