যক্ষ্মা কি.? যক্ষ্মা ও প্রাথমিক চিকিৎসা Tuberculosis and first aid Presented By Super Tv Bd

যক্ষ্মা?
https://supertvbd.blogspot.com


🙆যক্ষ্মা কি? যক্ষ্মা ও প্রাথমিক চিকিৎসা

যক্ষ্মা একটি মারাত্মক সংক্রামক রোগ যা প্রাথমিকভাবে ফুসফুসকে আক্রান্ত করে।
 যক্ষ্মা বা টিউবার্কিউলোসিস্ বা টিবি (Tuberculosis,) একটি সংক্রামক রোগ যার কারণ 
মাইকোব্যাক্টেরিয়াম টিউবারকিউলোসিস (Mycobacterium tuberculosis) নামের জীবাণু (Pathogen)।
২০১৮ সালে সারা বিশ্বে এই রোগে আক্রান্ত হয় এক কোটি মানুষ এবং মারা যায় ১৫ লাখ মানুষ ৷
"যক্ষ্মা" শব্দটা এসেছে "রাজক্ষয়" থেকে। ক্ষয় বলার কারণ এতে রোগীরা খুব শীর্ণ (রোগা) হয়ে পড়েন ।
যক্ষ্মা প্রায় যেকোনও অঙ্গে হতে পারে (ব্যতিক্রম কেবল হৃৎপিণ্ড, অগ্ন্যাশয়, ঐচ্ছিক পেশী ও থাইরয়েড গ্রন্থি)। 
যক্ষ্মা সবচেয়ে বেশি দেখা যায় ফুসফুসে। গরুর দুধ পাস্তুরায়ণ প্রচলনের আগে অন্ত্রেও অনেক বেশি হত।
টিকা বা ভ্যাকসিনেশন-র মধ্যে দিয়ে যক্ষ্মা প্রতিরোধ করা যায়।

🙆যক্ষ্মা হয়েছে কি করে বুঝবেন-লক্ষণ ও উপসর্গ

https://supertvbd.blogspot.com

সাধারণত লক্ষণ -

👉অস্বাভাবিকভাবে ওজন হ্রাস পাওয়া

👉অবসাদ অনুভব করা

👉জ্বর

👉রাতে ঘাম হওয়া

👉কাপুনী

👉ক্ষুধা মন্দা

🙆যক্ষ্মা অন্যান্য লক্ষণ -

👉তিন সপ্তাহ বা এর অধিক সময় ধরে কাশি

👉কাশির সাথে রক্ত যাওয়া

👉বুকে ব্যথা অথবা শ্বাস নেয়ার সময় ও কাশির সময় ব্যথা হওয়া

🙆কি করা উচিত ?

যদি আপনি যক্ষা রোগে আক্রান্ত হন সেক্ষেত্রে এটা খুবই জরুরী যে আপনি সঠিক ভাবে নিয়মিত চিকিৎসা গ্রহন করবেন এবং ডাক্তারের পরামর্শ পুংখানুপুংখভাবে পালন করবেন।

🙆যক্ষ্মা রোগের জীবাণু কিভাবে ছড়ায় ?

https://supertvbd.blogspot.com

 বাতাসের মাধ্যমে যক্ষা রোগের জীবাণু ছড়ায়। যক্ষ্মা রোগে আক্রান্ত ব্যক্তির হাঁচি বা কাশির মাধ্যমে রোগের জীবাণু বাতাসে গিয়ে মিশে এবং রোগের সংক্রমণ ঘটায়।

➣ যক্ষ্মার সংক্রমণ (TB Infection) এবং সক্রিয় যক্ষা (Active TB)

➣ শ্বাস-প্রশ্বাসের মাধ্যমে ফুসফুসে যক্ষ্মার জীবাণু প্রবেশ করলে নিচের যে কোনটি হতে পারে :

➣ রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতার কারণে যক্ষ্মার জীবাণু ধ্বংস হয়ে যেতে পারে।

➣ জীবাণুগুলো ফুসফুসে স্থায়ীভাবে আরও দ্বিগুণ হয়ে থেকে যেতে পারে। এর ফলে যক্ষ্মার সংক্রমণ হতে পারে তবে এর উপসর্গগুলো বোঝা যায় না এবং রোগ ছড়ায় না।

➣ রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা দুর্বল হলেযক্ষ্মার জীবাণু ফুসফুসে এবং শরীরের অন্যান্য অংশে ছড়িয়ে যেতে পারে এবং তা রোগ প্রতিরোধী কোষগুলো ধ্বংস করে দিতে পারে।

➣ বছরের পর বছর ধরে যক্ষ্মার জীবাণু শরীরে থাকলে পরবর্তীতে এটি সক্রিয় যক্ষ্মায় রূপ নিতে পারে। সাধারণত বয়স, ঔষধ সেবন, অপুষ্টি, কেমোথেরাপী, মদপান ইত্যাদির জন্য রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা কমে গেলে সক্রিয় যক্ষ্মা হতে পারে। সংক্রমণের প্রথম দুই বছরের মধ্যে যক্ষ্মা হওয়ার ঝুঁকি বেশি থাকে।

🙆যক্ষ্মা চিকিৎসায় চিকিৎসক ও রোগীর কর্তব্য

ডাক্তারকে মনে করতে হবে শুধু রোগের চিকিৎসাই যথেষ্ট নয়, রোগীর চিকিৎসাও অত্যন্ত জরুরি।

রোগ সম্পর্কে রোগীকে ভালো করে ধারণা দেয়া এবং নিয়মিত ওষুধ পূর্ণমাত্রায় খাওয়ার বর্ণনা ভালোভাবে দিন। রোগীকে বুঝাতে হবে রোগের ভালো-মন্দ নির্ভর করবে ওষুধ যথাযথভাবে ব্যবহারের মাধ্যমে।

🙆যক্ষ্মা রোগীর কর্তব্যঃ

https://supertvbd.blogspot.com

ঔষধ শুরুর কিছু দিনের মধ্যেই অনেক রোগী ভালো বোধ করেন এবং মনে হবেই না বরং আরো মারাত্মক আকারে যেমন; মাল্ট্রি ড্রাগ রেজিসেন্ট টিবি হতে পারে। এর ফলে রোগী নিজেরও ক্ষতি করবেন এবং সমাজে মারাত্মক আকারে যক্ষ্মা রোগ ছড়াতে সাহায্য করবেন। ঔষধের পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া হলে অবশ্যই তা ডাক্তারকে জানাতে হবে। অনেকে টাকা-পয়সার অভাবে ওষুধ কিনতে পারেন না, তাতে অনিয়ম হয়। প্রয়োজনে নিকটবর্তী যক্ষ্মা নিরাময় কেন্দ্রে যোগাযোগ করা যেতে পারে। রোগীকে বুঝতে হবে যেহেতু দীর্ঘ দিন ধরে অনেক ওষুধ খেতে হয়, তাই ধৈর্যসহকারে নিয়মিত ওষুধ সেবন অত্যন্ত জরুরি এবং রোগীকেও নিয়মিত ডাক্তারের কাছে গিয়ে ফলোআপ করাতে হবে।


✌😀✌যক্ষ্মা সম্পূর্ণ ভালো হয়ে ✌😀✌

https://supertvbd.blogspot.com

যক্ষ্মা নিরাময়যোগ্য ব্যাধি। অযথা ভয় পাওয়ার কিছু নেই। রোগীকে পরিবার-পরিজন থেকে আলাদা করার দরকার নেই। স্পেশাল কোনো খাওয়া-দাওয়ার দরকার নেই। নিয়মিত, পরিমিত এবং পূর্ণমাত্রায় ও পূর্ণমেয়াদে ওষুধ সেবন করলে অবশ্যই যক্ষ্মা সম্পূর্ণ ভালো হয়ে যায়।😀

Presented By Super Tv Bd 
Blogger Post Creator
Sumon Ahmed

No comments

Theme images by Petrovich9. Powered by Blogger.